আয়োডিন অভাব জনিত সমস্যা

  • by

আয়োডিন অভাব জনিত সমস্যা

যোগাযোগকারীর জানার বিষয়

‍সুষ্ঠু শারীরিক ও মানসিক বিকাশে আয়োডিন অপরিহার্য। বাংলাদেশের মাটি ও পানিতে পর্যাপ্ত আয়োডিন নেই। এই কারণে দেশে যে খাদ্য উৎপন্ন হয় তাতে আয়োডিনের পরিমাণ কম থাকে।

দেহে আয়োডিনের অভাব হলে দৈনিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী (ক্রেটিনিজম), শারীরিক বিকলাঙ্গতা, গর্ভপাত অথবা মৃত সন্তানের জন্ম হতে পারে। এসব সমস্যাকে একত্রে আয়োডিন ডেফিসিয়েন্সি ডিজঅর্ডারস ( আই ডি ডি) বা আয়োডিন অভাবজনিত সমস্যা বলা হয়। যে কেউ এসব সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন।

বাংলাদেশে প্রায় ৮ কোটি মানুষের আয়োডিন অভাব রয়েছে  এবং প্রায় ৫ কোটি মানুষের মধ্যে গলগন্ডের লক্ষণ রয়েছে।

এই অধ্যায়ে বর্ণিত চারটি প্রধান বক্তব্য উপরে উল্লেখিত এই ‍দুঃখজনক পরিণতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে। প্রতিদিন আয়োডিনযুক্ত লবণ খেয়ে পরিবারের সবাই আই ডি, ডি থেকে রেহাই পেতে পারে।

আয়োডিন

মূল বক্তব্য

১। মাটি, পানি ও খাদ্যে আয়োডিনের অভাব রয়েছে এমন এলাকায় জন্ম হলে শিশু মানসিক ও দৈহিক প্রতিবন্ধী হতে পারে। গর্ভবতী মা পর্যাপ্ত আয়োডিন না পেলে তার গর্ভপাত ও মৃত সন্তান প্রসবের মারাত্মক ঝুঁকি থাকে।

২। মাটি, পানি ও খাদ্যে আয়োডিনের ঘাটতি রয়েছে এমন এলাকার শিুশুরা আয়োডিন সমৃদ্ধ এলাকার শিশুদের চেয়ে কম বুদ্ধিসম্পন্ন হয়।

৩। পরিবারের সবাই প্রতিদিন আয়োডিনযুক্ত লবণ খেলে আয়োডিনের অভাবজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারে। রান্না ও খাবারে সবসময় আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করা উচিত। আয়োডিনযুক্ত লবণ নিরাপদ ও কার্যকর।

৪। গৃহপালিত পশুকে আয়োডিনযুক্ত লবণ খাওয়ানো উচিত। এতে পশুর দৈহিক ভাল হয়, তাদের প্রজনন উন্নত হয় এবং মাংস, দুধ, ডিম অথবা পশমের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।

সহায়ক তথ্য

মাটি, পানি ও খাদ্যে আয়োডিনের অভাব রয়েছে এমন এলাকায় জন্ম হলে শিশু মানসিক ও দৈহিক প্রতিবন্ধী হতে পারে। গর্ভবতী মা পর্যাপ্ত আয়োডিন না পেলে তার গর্ভপাত ও মৃত সন্তান প্রসবের মারাত্মক ঝুঁকি থাকে।

বিশ্বজুড়ে আয়োডিনের অভাবজনিত সমস্যা রয়েছে। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার তিনভাগের এক ভাগ আইডিডি র ঝুঁকি রয়েছে িএমন এলাকায় বসবাস করে। এদের প্রতি দশ জনের মধ্যে একজনের প্রতিটি মানুষ আয়োডিনের অভাবজনিত সমস্যার ঝুকির মধ্যে বসবাস করছে। প্রায় দুই তৃতীয়াংশের আয়োডিনের অভাব রয়েছে এবং প্রায় অর্ধেকের মধ্যে গলগন্ড রয়েছে।

  • গর্ভবতী মহিলার আয়োডিনের ঘাটতি হলে বার বার গর্ভপাত ও মৃত সন্তান প্রসবের মারাত্মক ঝুঁকি থাকে।
  • মস্তিস্কের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য আয়োডিন অপরিহার্য। দু বছর বয়সের মধ্যে শিশুর মস্তিস্কের বৃদ্ধি প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে যায়। গর্ভাবস্থায় এবং জন্মের পর পর আয়োডিনের ঘাটতি থাকলে শিশুর মস্তিস্কের অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে। গুরুতর হলে ক্রেটিন ( মানসিক ও দৈহিক প্রতিবন্ধী) হবার সম্ভাবনা থাকে। এই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে হলে গর্ভবতী মহিলাকে প্রতিদিন নিয়মিত আয়োডিনযুক্ত লবণ খেতে হবে।
  • ক্রোটিন শিশুর নানা ধরনের সমস্য হতে পারে যেমন মানসিক বিকাশ ব্যহত হওয়া, বামন হওয়া, বোবা, কালা ও ট্যারা হওয়া এবং ঠিকমতো হাটতে না পারা। এসব শিশু সারাজীবন তাদের মা এবং পরিবারের উপর নির্ভরশীল থেকে যায়।

গলগন্ড আয়োডিনের অভাবজনিত সমস্যাবলির সবচেয়ে সাধারণ ও দৃশ্যমান লক্ষণ। আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহারের মাধ্যমে “প্রাথমিক পর্যায়ের গলগন্ড’ সেরে যায়। কিন্তু গলগন্ড একবার খুব বড় হয়ে গেলে তা আর সারানো যায় না।

মাটি, পানি ও খাদ্যে আয়োডিনের অভাব রয়েছে এমন এলাকার শিশুরা আয়োডিন সমৃদ্ধ এলাকার শিশুদের চেয়ে কম বুদ্ধিসম্পন্ন হয়।

  • দেখা গেছে মাটি, পানি ও খাদ্যে আয়োডিনের অভাব আছে এমন এলাকায় বেড়ে উঠা শিশুর গড় বৃদ্ধাংক (আই কিউ) পর্যাপ্ত আয়োডিন রয়েছে এমন এলাকার শিশুদের চেয়ে গড়ে ১০ পয়েন্ট কম।
  • এসব শিশুদেরকে স্বাভাবিক দেখালেও, তারা কম বুদ্ধিমত্তার কারণে স্কুলে ভাল ফল করতে পারে না। আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করলে শিশুরা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয় না। ফলে শিক্ষার খরচ কমে যায়। পরিবারের সবাই প্রতিদিন আয়োডিনযুক্ত লবণ খেলে আয়োডিনের অভাবজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারে। রান্না ও খাবারে সবসময় আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করা উচিত। আয়োডিনযুক্ত লবণ নিরাপদ ও কার্যকর।

বিশেষ প্রয়োজনেঃ 

আপনার যে কন সময় এম্বুলেন্স সার্ভিস দরকার হতে পারে। যে কোন ধরনের এম্বুলেন্স সার্ভিস পেতে হলে খালেদ এম্বুলেন্স সার্ভিস এ যোগাযোগ করুন। অথবা কল করুন এখনই ০১৯৩৩২৪৬৫৭৭ – এই নাম্বারটি মনে রাখুন অথবা আপনার মোবাইল এ সেভ করুন এখনই। kmosarrof@gmail.com

আমাদের এম্বুলেন্স সার্ভিস ভিজিট করুনঃ https://khaledrentacar.com/ambulance-service/