কর্মক্ষেত্রে বুকের দুধ খাওয়ানো

  • by

কর্মক্ষেত্রে বুকের দুধ  খাওয়ানো

ডাঃ নাহরিনা দেওয়ান

শিশুর ক্রমবিকাশ ও জীবন রক্ষায় মায়ের বুকের দুধের গুরত্ব এখন আন্তজার্তিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে বুকের দুধের পক্ষে এখন জোর প্রচার অভিযান চলছে। পাঁচ মাস পর্যন্ত কেবলমাত্র বুকের ‍দুধই শিশুর জন্য যথেষ্ট, তদুপরি একটি শিশুকে দু বছর পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানোর যেমন কোরআনের নির্দেশ আছে, তেমনি বৈজ্ঞানিক ব্যাখাও রয়েছে। এতদসত্বেও বিভিন্ন কারণে মায়েরা তাদের সন্তানদেরকে সফলভাবে বুকের দুধ খাওয়াতে পারছেন না।

বিশেষ করে কর্মজীবী মহিলারা মাতৃকালীন ছুটি শেষে কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাবার কারণে মাতৃদুধের বিকল্প বাজারজাত শিশু খাদ্য ব্যবহারে বাধ্য হন। কিন্তু ইচ্ছে করলে কর্মজীবী, মহিলারাও সফলভাবে দু বছর পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যেতে পারেন। েএর জন্য যেমন চাই স্বামী ও পরিবারের অন্য সকলের সহযোগীতা, তেমনি একটি সুন্দর মাতৃবান্দব কর্মপরিবেশ যেখানে কাজের ফাঁকে ফাঁকে মায়েরা তাদের শিশু সন্তানদেরকে বুকের দুধ দিতে পারবেন।

ব্যাপারটা অসম্ভব বা কাল্পনিক মনে হলেও ঢাকার মহাখালীস্থ আর্ন্তজাতিক উদারময় গবেষণা কেন্দ্রের ( আইসি ডিডি আরবি) মহিলা কর্মীরা তাদে শিশুদের কর্মক্ষেত্রে বুকের দুধ দেবার এমন এক দুর্লভ সুযোগ পাচ্ছেন।  ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বর মাসে েএই কেন্দ্রের মহিলা কর্মীদের উদ্যোগে একটি শিশু পরিচর্যা কক্ষ চালু করা হয়। কেন্দ্রে কর্মরত সকল নারী ও পুরুষ সহকর্মীদের আর্থিক সহযোগীতায় এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক সহায়তার মাধ্যমে এই কক্ষটিকে সাজানো হয়। শিশুদের দেখাশোনার জন্য রাখা হয়েছে তিনজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী। সকাল ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত এই কক্ষ ব্যবহারের জন্য খোলা থাকে। কর্মরত মায়েরা ডিউটির সময় সঙ্গে করে শিশুদের নিয়ে আসেন এবং এই কক্ষে রেখে তাদের নিজ নিজ কাজে চলে যান। কাজের ফাকে ফাকে মায়েরা নিজের সুবিধাজনক সময়ে এসে শিশুকে বুকের দুধ দিয়ে যান। কক্ষে  প্রবেশের পর পরেই মা নিজের হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে একটি পার্টিশন দেয়া পৃথক জায়গায় গিয়ে আন্তরিকভাবে শিশুকে বুকের দুধ দিতে পারেন।

এখানে ৩ মাস থেকে ২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের রাখা হয়। গড়ে ৬ থেকে ১২ জন শিশুর মা েএই কক্ষ ব্যবহার করতে পারেন।

শিশু পরিচর্যার কক্ষের উপকারিতা

  • শিশুরা কর্মস্থলে আছে বলে মায়েরা নিশ্চিন্তে থাকেন এবং কাজের প্রতিও মনোযোগী থাকেন।
  • বুকের দুধ চালিয়ে যেতে পারার কারণে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠে, সে কম অসুস্থ হয় এবং মাকেও শিশুর জন্য ছুটি নিতে হয় না।
  • অনেক মহিলারা শিশুর বুকের দুধ না খাওয়াতে পারার জন্য বা দেখাশোনা করতে না পারার জন্য বা দেখাশোনা করতে না পারার কারণে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হতেন এ সুযোগ থাকাতে মাকে চাকরি ছাড়তে হচেছ না।
  • চাকরির পাশাপাশ শিশুর অধিকার মায়ের দুধ দিতে পারাতে মহিলারা ঘর সংসারের সাথে সাথে চাকরি করে সংসারে আর্থিক সহায়তা করতে পারছেন এবং সবার উপরে নিজের উপর আত্মবিশ্বাস স্থাপন করতে পারছেন।

এইজন্য এবারের বিশ্ব মাতৃ দুগ্ধ’ সপ্তাহের মূল বিষয় ‘মায়ের দুধ কওয়ানঃ মায়ের ক্ষমতা বাড়ান’ বাস্তবায়িত করতে আই সিডি ডি আরবি র মত শিশুর পরিচর্যা কক্ষ বা ‘ক্রেশ’. দেশে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে থাকা খুবই প্রয়োজন। এর জন্য প্রথমত চাই কমকর্তার  মাতৃবান্ধব মনোভাব, দ্বিতীয়ত এবং বিশেষভাবে চাই মহিলা কর্মীদের দাবি ও উদ্যেগ। বিভিন্ন স্থানে কর্মরত মহিলা কর্মীগণ আপনাদের কর্মস্থলে পরে থকা কোনো একটি খালি কক্ষকে রূপান্তরিত করতে পারেন, আপনাদের শিশু রাখার স্থান হিসেবে। এর জন্য প্রতিষ্ঠানের বা আপনাদের কোনো বাড়তি খরচ করতে হবে না। প্রতিষ্টানের কিছু অব্যবহৃত আসবাবপত্র দিয়েই আপনারা কক্ষটিকে সাজাতে পারেন। আপনাদের কর্মক্ষেত্রে একটি ‘ক্রেশ’ তৈরির জন্য আপানারা যে কোনো সময় আই সি ডিডি আর বির র কক্ষটি দেখে যেতে পারেন। কক্ষ ব্যবহারকারী মায়েদের সঙ্গে আলাপ করে আপনিও এমন  একটি সুযোগ আপনার কর্মক্ষেত্রে গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেন।

 

বিশেষ প্রয়োজনেঃ 

আপনার যে কোন সময় এম্বুলেন্স সার্ভিস দরকার হতে পারে। যে কোন ধরনের এম্বুলেন্স সার্ভিস পেতে হলে খালেদ এম্বুলেন্স সার্ভিস এ যোগাযোগ করুন। অথবা কল করুন এখনই ০১৯৩৩২৪৬৫৭৭ – এই নাম্বারটি মনে রাখুন অথবা আপনার মোবাইল এ সেভ করুন এখনই। ইমেইলঃ kmosarrof@gmail.com

আমাদের এম্বুলেন্স সার্ভিস ভিজিট করুনঃ https://khaledrentacar.com/ambulance-service/