Madhupur Sal Forest – Madhupur Tangail
এক ব্রিহস্পতিবার অথবা আপনার সুযোগ সুবিধা মত একদিন খালেদ রেন্ট এ কার থেকে গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে আশুন মধুপুরের বনে বাদাড়ে। মধুপুর টাঙ্গাইল এর একটি থানা। রাত কাটাবার জন্য আপনাকে কোন কষ্ট পোহাতে হবে না। মাঝারি গোছের আবাসিক হোটেল পাবেন। বন বিভাগের একটি বাংলোও আছে।
সকালে মধুপুর গরের দিকে যান। ভিতরে প্রবেশ দুঃসাধ্য এবং কষ্টকর। ভয়ঙ্কর প্রাণিও আছে। বনের আশে পাশেই আপনাকে পায়ে হেটে চলতে হবে। ভাগ্য ভাল হলে হরিণ, শূকর, বন মোরগ, বন্য কুকুর, খরগোশ দেখতে পাবেন। বিভিন্ন গাছ পালা চোখে পরবে। শাল-গজারী শোনাল, চাম্বেল আর কত কি! আম, জাম, কাঁঠাল গাছও আছে। ৫০ থেকে ৭০ ফুট লম্বা গজারি কিংবা শাল গাছ দেখতে পাবেন। মধুপুর গরের ভিতর দিয়ে আপনি গার উপজাতিদের পারায় যেতে পারেন। সেখানে গিয়ে পাবেন আর বৈচিত্র্য। অধিকাংশ বাড়ি উঁচু মাচায় তৈরি এবং তা ছনের। এরূপ ঘর তৈরি করার পিছনে রয়েছে একটিই কারণ, সেটা হল বন্য-জন্তুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া।
মধুপুর বনে আপনি আনারসের বাগান দেখতে পাবেন। বর্ষার সময় আপনি ওখানে প্রচুর আনারস পাবেন। দামেও তা সস্তা অর্থাৎ এক জোড়া আনারস ৫-৬ টাকা। খেতেও দারুণ মিষ্টি। ইচ্ছে করলে আপনি ওখান থেকে কয়েক জোড়া আনারাস নিয়েও আস্তে পারেন। এই বনের আয়তন প্রায় ৪৫০ বর্গ মাইল। এ নিয়ে অনেক কিংবদন্তী ছড়িয়ে আছে। কথিত আছে মধুপুরের কাঙ্গাল সগর দিঘি এবং বন দিঘির কাছে গুপ্ত বৃন্দাবন অবস্থিত ছিল। এই গুপ্ত ব্রিন্দাবন শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীরাধার রোমাঞ্চকর প্রেম কাহিনীর জন্য বিখ্যাত।
মধুপুর থানা হাট বাজার বন এলাকা একদিনে আপনি ঘুরে দেখতে পারবেন না। তাই আপনাকে আর একটা দিন ওখানে কাটাতে হবে। সব ঋতুই মধুপুর ভ্রমনের উপযুক্ত সময়। দুএকদিন ওখানে অবস্থান ও ভ্রমণ করে আপনি সুখকর স্মৃতি নিয়ে ফিরবেন।