শিশুর সর্দি কাশি

  • by

শিশুর সর্দি কাশি

১. কাশিতে আক্রান্ত শিশু স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত (ঘন ঘন) নিঃশ্বাস নিলে বুঝতে হবে শিশু ঝুঁকির সম্মুখিন। এ অবস্থায় শিশুকে তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্যকর্মীর নিকট অথবা হাসপাতালে নিতে হবে।

২. শিশুকে প্রথম পাচ মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খেতে দিয়ে পরিমিত পুষ্টি জুগিয়ে ও তাদের সময়মত সবগুলো টিকা দিয়ে মা বাবা নিউমোনিয়া থেকে শিশুকে রক্ষা করতে পারেন।

৩. সর্দি কাশি হলে শিশুকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি খাবার ও পানীয় দিতে হবে।

৪. সর্দি কাশি হলে শিশুকে বেশি নয়, তবে সামান্য গরমে রাখতে হবে। ধোয়াবিহীন নির্মল বাতাসে শিশুকে শ্বাস নিতে হবে।

সর্দি কাশি সহায়ক তথ্য

১. কাশিতে আক্রান্ত শিশু স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত (ঘন ঘন) নিঃশ্বাস নিলে বুঝতে হবে শিশু ঝুকির সম্মুখীন। এ অবস্থায় শিশুকে তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্যকর্মীর নিকট অথবা হাসপাতালে নিতে হবে।

  • অধিকাংশ সর্দি কাশি ও নাক দিয়ে পানি ঝরা আপনা আপনি সেরে যায়। কিন্তু কখনো কখনো সাধারণ সর্দি কাশি নিউমোনিয়া মোড় নেয় এবং শিশুর জীবন হুমকির সম্মুখীন হয়ে। নিউমোনিয়াজনিত মৃত্যু শিশুকে বাচানোর উপায় হলোঃ
  • মা বাবাকে জানতে হবে কখন কাশি ও সর্দি নিউমোনিয়ায় মোড় নেয় আর তখনই দরকার জরুরী স্বাস্থ্য সেবা।
  • চিকিৎসা সাহায্য ও স্বল্প মূল্যের ওষুধ নাগালের মধ্যে রাখা।
  • সর্দি কাশিতে আক্রান্ত শিশুর মা বাবাকে নীচের লক্ষণগুলো খেয়াল রাখতে হবে এবং যেকোন একটি লক্ষণ দেখা দেয়া মাত্র স্বাস্থকর্মী অথবা নিকটতাম স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শিুশুকে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা হবে। লক্ষণগুলো হলো ঃ-
বয়স প্রতি মিনিটে কত দ্রুত শ্বাস নেয়
০ – ২ মাস ৬০ বা তারও বেশি
২ -১২ ৫০ বা তারও বেশি
১২ – ৫ বছর ৪০ বা তারও বেশি
  • যদি শিশুর বুকের নীচের অংশ শ্বাস নেয়ার সময় ভেতরে দিকে চেপে বা ডোবে যায়।
  • যদি শিশুটি ভালভাবে পানীয় গ্রহণ করতে না পারে।
  • কোন রকম ওষুধপত্র ছাড়াই বাড়িতে মায়ের যত্নে সর্দি কাশিতে আক্রান্ত স্বাভাবিক শ্বাস গ্রহণরত শিশুকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। সর্দি কাশির জন্য বাজারে যেসব ওষুধ বিক্রি হয় তার অধিকাংশ শুধু অকার্যকর নয় বরঞ্চ ক্ষতিকর।

২। শিশুকে প্রথম পাঁচ মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খেতে দিয়ে, পরিমিত পুষ্টি জাগিয়ে ও তাদের সময়মত সবগুলো টিকা দিয়ে মা বাবা নিউমোনিয়া থেকে শিশুকে রক্ষা করতে পারবেন।

মায়ের দুধ খাওয়ানো

মায়ের দুধ বিভিন্ন রোগ সংক্রমণের হাত থেকে শিশুকে রক্ষা করে। যেসব শিশু বোতলে দুধ খায়, সেসব শিশুর নিউমোনিা আক্রান্ত হওয়ার হার যেসব শিশু মায়ের দুধ খায় তাদের চেয়ে দ্বিগুনের বেশি। শিশুর জন্মের প্রথম পাচ মাস শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানো বিশেষ প্রয়োজন।

খাবার দেয়া

নিউমোনিয়া আক্রান্ত যেকোন বয়সী শিশুকে সঠিকভাবে খাওয়ালে তার অসুখ গুরত্বর হবার সম্ভাবনা অথবা নিউমোনিয়াজনিত আক্রান্ত হয়ে মারা যাবার সম্ভাবনা কম থাকে।

ভিটামিন এ

মায়ের বুকের দুধ, কমলা বা হলুদ রং এর ফলমূল ও সবুজ শাক সবজিতে যে ভিটামিন ‘এ’ থাকে তা শিশুকে স্বাস্থ্যবান রাখতে সাহা্যে করে।

       টিকাদান

শিশুর বয়স এক বছর হওয়ার আগেই সবগুলা টিকা দিয়ে নিতে হবে। সবগুলো টিকা দেয়া হলে শিশু হুপিং কাশি, যক্ষা ও হামজনিত শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে।

মানুষের ভিড়

মানুষের বেশি ভিড় সর্দি কাশি ছড়াতে সাহায্য করেন।

৩। সর্দি কাশি হলে শিশুকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি খাবার ও পানীয় দিতে হবে।

যখন কোন শিশুকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করা হবে তখন নীচের এই জরুরী তথ্যগুলো অবশ্যই মনে রাখতে হবেঃ

       খাবার চালিয়ে যাওয়া

বুকের দুধ খাওয়া শিশুর সর্দি কাশি হলে তাকে খাওয়ানো কঠিন হয়। তবে খাবার, রোগ সংক্রমণ থেকে শিশুকে বাঁচাতে ও তার বেড়ে উঠায় সাহায্য করে। এ কারণে শিশুকে বারবার বুকের দুধ খেতে দিতে চেষ্টা করা উচিত। শিশুর নাকের সর্দি পরিষ্কার করে দিলে শিশুর পক্ষে চোষা সহজ হয়। যদি শিশু ‍ভালভাবে খেতে না পারে তাহলে তাকে অব্যশই স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে অথবা নিকটতম হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

যে সব শিশু বুকের দুধ খায় না তাদের কে নানারকম চেষ্টা করে অল্প পরিমাণ খাবার বারে বারে খাওয়াতে হবে। অসুখ বিসুখ হরে শিশু খেতে চায় না বলে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি কমে যায়। অসুখ সেরে গেলে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন অন্ততঃ একবার তাকে বেশি করে খেতে দিতে হবে।

শিশুকে প্রচুর তরল খাবার দিতে হবে

সর্দি কাশিতে আক্রান্ত শিশুকে প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার দিতে হবে।

৪। সর্দি কাশি হলে শিশুকে বেশি নয়, তবে সামান্য গরমে রাখতে হবে। ধোয়াবিহীন নির্মল বাতাসে শিশুকে শ্বাস নিতে হবে।

       তপ্ত নয়, গরম রাখুন

নবজাত শিশুর গায়ের তাপ সহজেই কমে যায়। এ কারণে শিশুকে কাপড় দিয়ে জড়িয়ে গরম করে রাখা প্রয়োজন। তবে বেশি গরম যেন না লাগে অথবা বেশি শক্ত করেও শিশুকে জড়াতে নেই।

স্বর সবসময় যে মারাত্মক ‍অসুখের লক্ষণ, তা নয়। তবে জ্বর হলে শিশুকে প্যারাসিটামল দেয়া যেতে পারে।  এমতাবস্থায় শিশুকে বেশি কাপড় চোপড় জড়িয়ে রাখা যাবে না।

শ্বাস প্রশ্বাস নিতে সাহায্য করা

বুকের দুধ খাওয়ানো ও ঘুমানোর আগে শিশুর নাক ‘পরিষ্কার’ করতে হবে। ভেজা আবহাওয়া শিশুকে সহজভাবে শ্বাস নিতে সাহায্য করতে পারে।

প্রতিদিন দরজা বা জানালা খুলে শিশুর ঘরের বাতাষ নির্মল রাখতে হবে।

 

বিশেষ প্রয়োজনেঃ 

আপনার যে কোন সময় এম্বুলেন্স সার্ভিস দরকার হতে পারে। যে কোন ধরনের এম্বুলেন্স সার্ভিস পেতে হলে খালেদ এম্বুলেন্স সার্ভিস এ যোগাযোগ করুন। অথবা কল করুন এখনই ০১৯৩৩২৪৬৫৭৭ – এই নাম্বারটি মনে রাখুন অথবা আপনার মোবাইল এ সেভ করুন এখনই। ইমেইলঃ kmosarrof@gmail.com

আমাদের এম্বুলেন্স সার্ভিস ভিজিট করুনঃ https://khaledrentacar.com/ambulance-service/