সাইনোসাইটিস রোগের হোমিও চিকিৎসা

  • by

সাইনোসাইটিস রোগের হোমিও চিকিৎসা

ডা. এম এম আবদুল আজিজ

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরসুন্দর অঙ্গপ্রতঙ্গের সমন্বয়ে সৃষ্টি করেছে তথা নাক, কান, গলা এ তিন অঙ্গ মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর কোনো একটি রোগাক্রান্ত হলে সর্ম্পূণ মানবদেহই অসুস্থ্য হয়ে যায়। এ তিন অঙ্গের যেকোনো একটি অথবা একত্রে তিনটি রোগাক্রন্ত হতে পারে। যখন কোনো মানুসের রক্তের  Esonophil ও Serum IGE এর পরিমাণ বাড়তে থাকে, তখন এমনিতেই ঠান্ডা, হাঁচি, সর্দি লেগে যায়। এক পর্যায়ে নাকের ভেতরের মাংস ও টনসির বৃদ্ধি হয় এবং সব শ্লৈষ্মিক ঝিল্লিতে অ্যালার্জিক প্রদাহ সৃষ্টি হয়। নাকের মধ্যে ও কপালের চাাড়ার নিচে আটটি কুঠরি বা স্তর থাকে। এসব কুঠরিকে বলা হয় সাইনাস। ঠান্ডায় এসব সাইনাসে প্রদাহের সৃষ্ট ইনফেকশন প্রদাহ ও ইনফেকশনজনিত সমস্যাকে সাইনোসাইটিস বলে।

সাইনাস সাধারণত চার প্রকার ঃ ১। Maxilary, 2. Frontal, 3. Ithomodial. 3. Spehenoidal. সাধারণত Maxilary ও Frontal সাইনাসে ইনফেকশন হয়ে থাকে। মাথার খুলির মধ্যে যে Sinus থাকে, সেগুলোর বিশেষ ধরনের কাজ রয়েছে। এসব সাইনাস মাথার মধ্যে অবস্থিত বাতাসকে উষ্ণ ও আদ্র বায়ুতে কাজ করে মাথাকে হালকা রাখে ও খুলির অঙ্গকে যাবতীয় সমস্যা থেকে রক্ষা করে।

সাইনোসাইটিস দুই ধরনেরঃ একটি তীব্র প্রদাহযুক্ত অন্যটি ক্রনিক দীর্ঘ দিনের প্রদাহ, যা সাধারণত আস্তে আস্তে হয়ে থাকে। সাইনোসাইটিস সাধারণত ঠান্ডা ও ভেজা স্যাঁতসেতে পরিবেশ , ধুলোবালু ও ধোঁয়াযুক্ত পরিবেশ বেশি দেখা যায়। এ ছাড়াও অন্য কারণে সাইনোসাইটিস হতে পারে। যেমন: নাকের ইনফেকশন, নাকের ভেতর ঝিল্লির প্রদাহ ও নাকের ভেতর মাংশ বৃদ্ধি এবং ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে; উপসর্গ ঃ সাধারণ চোখের নিচ ও কপালসহ মাথাব্যাথা, মুখমন্ডল, মাথার পেছন দিকে ব্যাথা, সর্দি, হাচি, নাকে ব্যথা হওয়া এবং আস্তে আস্তে শ্বাসকষ্ট অনুভব হলেই সাইনোসাইটিসের লক্ষন বুঝতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্যাথলজিতে পিএনএস এক্স  করে আমরা সাইনোসের অবস্থান জানতে পারি।

সাইনোসাইটিস রোগের হোমিও চিকিৎসা: সাধারণত বেশির ভাগ রোগীকেই দেখো যায় যারা সাইনাসে ভোগেন তাদের নাকের ভেতর মাংস বৃদ্ধি হয়ে থাকে। সে ক্ষে্ত্রে প্রথমে পলিপের চিকিৎসা দিয়ে নাকের দুটি ছিদ্র ব্লক অবস্থা তেকে মুক্ত করে সাইনোসাইটিস চিকিৎসা শুরু করা ভালো। এতে ভালো ফল আশা করা যায়।

সাধারনত অন্য পদ্ধতিতে অপারেশন ও সিরিঞ্জ দিয়ে পানি ঢুকিয়ে ওয়াশের মাধ্যমে সাইনোসাইটিস চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় বছরে কমপক্ষে দুইবার এ ধরনের চিকিৎসা নিতে হয়। এটি রোগীর জন্য দীর্ঘ সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ চিকিৎসা। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় যদি প্রথমে লক্ষণ অনুযায়ী অ্যালার্জির ওপর চিকিৎসা দিয়ে চার ছয় মাসের চিকিৎসায় সাইনোসাইটিসের তীব্র কষ্টকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সে ক্ষেত্রে নিচের ওষুধের প্রতি দৃষ্টি দিয়ে সঠিক ওষুধটি নির্ণয় করে অতি অল্প সময়ে রোগীকে সুস্থ্য করে তোলা সম্ভব।

ওষুধঃ ১. রাস ট্ক্স, ২. স্যাংগু নাট, ৩. লেমনা মিউর, ৪.সালফার, ৫. কস্টিকাম, ৬. ইচিনিং, ৮. সাইলিসিয়া, ৯. ন্যাটরাম মিউর, ১০. ক্যালি বাই প্রভৃতি।

রোগীদের করণীয়ঃ চিকিৎসার পাশাপাশি ঠান্ডা জাতীয় খাবার ব্যবহার, অতিরিক্ত গরম, ধুলোবালু, অ্যালার্জি জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে।

লেখকঃ মহাসচিব, আইডিয়াল ডক্টরস ফোরাম অব হোমিওপ্যাথি।

চেম্বারঃ অর্গানন হোমিও কমপ্লেক্স, ১৬৪/১ ডিআইটি এক্সটেনশন রোড

(তৃতীয় তলা), ঢাকা। মোবাইল : ০১১৯৫৪৩৫৮৪৮

বিশেষ প্রয়োজনেঃ 

আপনার যে কন সময় এম্বুলেন্স সার্ভিস দরকার হতে পারে। যে কোন ধরনের এম্বুলেন্স সার্ভিস পেতে হলে খালেদ এম্বুলেন্স সার্ভিস এ যোগাযোগ করুন। অথবা কল করুন এখনই ০১৯৩৩২৪৬৫৭৭ – এই নাম্বারটি মনে রাখুন অথবা আপনার মোবাইল এ সেভ করুন এখনই। kmosarrof@gmail.com

আমাদের এম্বুলেন্স সার্ভিস ভিজিট করুনঃ https://khaledrentacar.com/ambulance-service/